প্রাথমিক জীবন
6th July, 1901 বাংলার বাঘ অর্থাৎ Shyamaprasad Mukherjee’র জন্ম হয় যার পিতার নাম Ashutosh Mukharjee , কলকাতা High Court’র বিচারক ও University of Calcutta’র Vice-Chancellor ছিলেন ও মাতার নাম Jogamaya Devi Mukherjee। 1906 সালে Shyamaprasad Mukherjee Mitra Institution’এ ভর্তি হন , ক্লাস-২’তে। মেধাবি ছাত্র বাংলার বাঘ 1917 সালে Matriculation পরীক্ষা পাশ করেন ও scholar পান 10 [১০] টাকা প্রতি মাসে। এর পর উনি একে একে 1919 সালে Presidency থেকে চারুকলায় 1st Division’এ Intermediate Examination, 1921’এ Presidency থেকে English Honours’এ 1st Class First হন। তিনি 1922 সালে শুধা দেবি’র সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন এবং পরের বছর [1923] আবার M.A পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন বাংলা সাহিত্যের ওপর, 1st Class First হয়ে।
1924’এ উনি B.L. শেষ করে 1926 সালে ইংল্যান্ড চলে যান এবং Lincoln Inn’এ “বার” পড়ার জন্য যোগ দেন।
পরের বছর [1927] বাংলার বাঘ ‘উকিল’ হিসেবে ও পরে English Bar’এ যোগ দেন কিন্তু দেশের সৌভাগ্য বশত উনি এই পেশাতে বেশিদিন না থেকে দেশমাতার টানে ফিরে আসেন।
রাজনৈতিক জীবন
1929’এ Shyamaprasad Mukherjee Bengal Legislative Council’এ Congress’এর হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেন কিন্তু Congress পরের বছর এখানে বয়কটের সিদ্ধান্ত নিলে Shyamaprasad Mukherjee নির্দল হিসেবে এই কেন্দ্র থেকে নির্বাচিত হন। 1933 সালে তাঁর স্ত্রী’ পরলোকগমন করেন, তার দুই সন্তান ও দুই কন্যার দায়িত্ব সম্পূর্ণ রুপে তার ওপর এসে পড়ে, কিন্তু তাই বলে একজন প্রকৃত নেতা হিসেবে উনি দেশমাতার সেবার থেকে নিজেকে বিরত রাখেননি। 1934 সালে Shyamaprasad Mukherjee সবচেয়ে কনিষ্ঠ হিসেবে Vice Chancellor হন এবং 1938 সালের 26 November University of Calcutta থেকে D.Litt.পান। উনি Vice Chancellor হয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেন ঃ
১] পাঠ্যক্রম এবং পরীক্ষার মাধ্যম হিসেবে বাংলাকে গ্রহণ করে।
২] নতুন বিভাগ এবং কোর্স শুরু, বিশেষত বিজ্ঞানের বিভাগ।
৩] কৃষি শিক্ষার জন্য তিনি প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে,কৃষিতে ডিপ্লোমা কোর্স চালু করেন ।
৪] শিক্ষক প্রশিক্ষণ বিভাগকে সংগঠিত করেন।
৫] চীনা ও তিব্বতি অধ্যয়ন প্রতিষ্ঠা করেন।
৬] ইসলামী ইতিহাস ও সংস্কৃতির অধ্যয়নের জন্য বিভাগ শুরু করেন।
৭] Ashutosh Museum of Indian Art & Fine Arts’এর প্রতিষ্ঠা করেন।
৮] B.A.’তে হিন্দি ভাষা চালুর সাথে তিনি দ্বিতীয় ভাষা হিসেবে বাংলা, হিন্দি ও উর্দুতে পড়ার সুযোগ করে দেন।
৯] পাঠ্যক্রমের পরিকল্পনায় সামরিক প্রশিক্ষণ কোর্স শুরু করান।
১০] ছাত্র কল্যাণ বিভাগ গঠন করেন, তথাকথিত অনগ্রসর শ্রেণী থেকে আসা শিক্ষার্থীদের জন্য সংরক্ষিত হোস্টেল বিলোপ
করে সাধারণ হোস্টেল এবং কলেজ সংযুক্ত mess’এ তাদের জন্য বাবস্থা করেন প্রধানত সবার মধ্যে ভ্রাতৃত্ব
স্থাপনের উদ্দেশ্যে ।
১১] University Athletic Club এবং ঢাকুরিয়াতে University Rowing Club প্রতিষ্ঠা করেন ।{Vide : Diary,PP,214-16}
উপরের কাজগুলই Shyamaprasad Mukherjee’এর কাজ নিয়ে আর অনার দূরদৃষ্টি পরিস্কার করে দেয় আপনাদের সামনে।
V.D.Savarkar’এর সভাপতিত্তে 1939 সালে Shyamaprasad Mukherjee’এ হিন্দু মহাসভা’তে যোগ দেন ।
1941 সালের ফেব্রুয়ারী নাগাদ দেশ যখন উত্তাল ধর্মের ভিত্তিতে তখন বাংলার বাঘের গর্জন শোনা যায় এক জনসভায়, “যদি মুসলমানরা পাকিস্তানে বসবাস করতে চায় তবে তাদেরকে "তাদের ব্যাগ এবং জিনিসপত্র গুছিয়ে ভারতকে ছেড়ে দিতে হবে ... [যেখানে] তারা যেখানে চাইবে সেখানে তারা যেতে পারে।“ ওই বছর’ই Shyamaprasad ফজলুল হকের সাথে হাত মিলিয়ে প্রগ্রেসিভ কূটনীতিক সরকার গঠন করেন মুসলিম লীগের সাম্প্রদায়িক দুষ্কর্মের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের উদ্দেশ্য নিযে এবং 11.12.41 থেকে 20.11.42 তারিখ অব্দি বাংলার অর্থমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ত পালন করেন।
contd...